FavoriteSpecialStudy

‘বহিপীর’ নাটকের সকল সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর & অনুশীলনী ২০২২

Table of Contents

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : আজাদের বাবা নামকরা গীর ছিলেন। কিন্তু ‘আজাদ ‘লেখাপড়া শিখেছেন। শহরে চাকরি করেন। দীর্ঘদিন পর গ্রামে বেড়াতে আসেন। গ্রামের মুরবিব তার কাছে এসে তাকে সালাম করতে যায়। আজাদ সাহেব নিজেই তাকে সালাম করেন, কিন্তু মুরবিব এ ঘটনায় নিজেকে পাপী মনে করেন। আরেকজন তার কাছে ‘পানি’ পড়া নিতে আসে। তাকে – আজাদ সাহেব বোঝানোর চেষ্টা করেন।

ক. ‘বহিপীর” নাটকের প্র’থম সংলাপটি কার?

খ. বিয়ে হলো তক-দিরের কথা  বুঝিয়ে বলো।

গ. উদ্দীপকে বরিত গ্রামের মানুষ-গুলোর কার্ক্রমে ‘বহিপীর’ নাটকে প্রতিফলিত সমাজের কোন ‘চিত্রকে’ ইঙ্গিত করে তা তুলে ধর।

ঘ. উদ্দীপকের_আজাদ চরিত্রটি ‘বহিপীর, ‘নাটকের বহিগীরের মতো ধর্ম-ব্যবসায়ী _নয়- মন্তব্যটি_বিচার_কর।


উত্তর-

ক. বহিপীর” নাটকের প্রথম সংলাপটি হাশেমের।

খ. বিয়ে হলো তকদিরের কথা- এ কথাটি জমিদারপত্্ী খোদেজা বলেছেন তাহেরাকে উদ্েশ্য করে। এখানে দাম্পত্য জীবনের অনিশ্চিত সুখেরবিষয়কে বোঝানো হয়েছে। পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে বিচিত্রকর আর কিছু নেই। কারণ বহুদিন পর্যবেক্ষণের পরেও একজন মানুষের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে বোঝা যায় না। মানুষ একান্তই দাম্পত্য সুখ কামনা করে। বিয়ে সংসার করলেই যে কেউ সুখী হবে, তার নিশ্চয়তা নেই, কেউ তা দিতে পারে না। এক্ষেত্রে দুর্বলচিত্ত কর্মশক্তির তুলনায় ভাগ্যের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তারা মনে করে, ভাগ্য ভালো হলে সুখ আসবে, আর ভাগ্য খারাপ হলে তা আসবে না। এ কারণেই বলা হয়েছে- বিয়ে হলো তকদিরের কথা।

গ.

পীরের প্রতি অন্ধভক্ত মানুষ দেখা যায় “বহিপীর নাটকে এবং সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের সমাজব্যবস্থায়। সমাজে “পীর অত্যন্ত সম্মানী মানুষ। কারণ সমাজের মানুষের মতে পীর খোদার প্রিয় বান্দা। পীর অনেক ক্ষমতা রাখেন, ক্ষমতার কারণেই খোদার সেঙ্গ তার সম্পর্ক সাবলীল এবং মানুষ এ গীরের ক্ষমতার মাধ্যমে খোদার অনুগ্রহ পেতে চায়। উদ্দীপকে আজাদের বাবা একজন নামকরা পীর ছিলেন। মানুষ তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা-ভক্তি করত। আজা শহরে লেখাপড়া করেন। শহর থেকে অনেকদিন পর গ্রামে আসেন। তার বাবার প্রতি মানুষের গভীর শ্রদ্ধা- ভক্তির কারণে আজদকেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। মুরব্বিরা তাকে সালাম করতে আসেন। পানিপড়া নিতে আসেন। অথচ আজাদ পীর নন, তিনি সচেতন ও শিক্ষিত মানুষ। ‘বহিগীর, নাটকেও এ সমাজব্যতস্থার অনুরূপ চিত্র পরিলক্ষিত হয়। সেখানে বহিপীরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে গণ্য করে না, তাদের কাছে তিনি অতিম্নব। এ কারণেই সারাবছর তাকে মানুষের আতিথ্য গ্রহণ করতে হয়। না চাইতেই পীর অনেক টাকা পান। এমনকি বৃদ্ধ পীরের কাছে কিশোরী কন্যাকে বিয়ে দিতেও কেউ দোষের মনে করে না। এভানে গীরের প্রতি যে অন্ধভক্তি তা উদ্দীপক এবং “বহিপীর নাটক উভয় সমাজব্যবস্থাতেই সমান বলে মনে হয়।

ধর্মকে পুঁজি করে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিতে দেখা যায় “বহিগীর, নাটকের বহিপীরকে। কিন্তু উদ্দীপকের আজাদ মানুষের সেই দুর্বলতাকে ব্যভহার করেন না। ধর্মের মাধ্যমে মানুষ আত্মিক শান্তি লাভ করে। ফলে যারা ধর্মসংশ্লিষ্ট মানুষ তাদের প্রতিও একধরনের দৃঢবিশ্বাস থাকে। তবে কিছু কিছু অসাধু মানুষ আছে, যারা এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগায়। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। এরা ঘৃণ্য মানুষ ও ধর্মব্যভসায়ী। কারণ ধর্মব্যবসা করেই এরা স্বার্থ উদ্ধার করে। উদ্দীপকে আজাদের বাবা নামকরা পীর ছিলেন। কিন্তু আজাদ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। শহরে চাকরি করেন। গ্রামে ফিরে দেখলেন, মানুষ তাবে অত্যন্ত ভক্তি করছে। মুরব্বরাও তাকে সালাম দিচ্ছে। পানিপড়া নিচ্ছে।

সে তাদের এই ভক্তি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। তাই তিনি মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করলেন যে, তার বাবা পীর হলেও তিনি কিন্তু পীর নন। ‘বহিপীর নাটকেও দেখা যায়, বহিপীরের প্রতি মানুষ অনেক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। ফলে সারা বছরই তাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। তিনি মুখ ফুটে বললেই মানুষ অনেক টাকা বের করে দিতে প্রস্তত। এমনকি ভক্তির কারণে গীরের কাছে কিশোরী মেয়েকে বিয়ে দিতেও আপত্তি করে না। পাওয়া যায়, যার বৈষয়িক জ্ঞান অত্যন্ত জোরালো। কারণ যদি সত্যিই চিন্তা করতেন না। আর তিনি যদি পীর না হতেন তাহলে তাহেরাকেও তার কাছে বিয়ে দেয়া হতো না। এই অবস্থা তার ধর্ম ব্যবসায়কে নিশ্চিত করে। উদ্দীপকে আজাদের প্রতিও মানুষের অন্ধভক্তি আছে। ইচ্ছা করলেই আজাদ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু ধর্মব্যবসায়ী নন, তাই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।

 


সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : মঞ্জুর সাহেবের ভগ্বিপতি মারা যাওয়ার পর ভগিনী মাজেদাকে নিয়ে এসে মানুষ করে। টাকা বাঁচানোর জন্য মাজেদাকে ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রী এর প্রতিবাদ করে এবং তা হতে দেয়নি।

ক. সূর্যাস্ত’_আইন_কত_সালে_প্রণীত হয়?

খ. ‘জমিদার’ হাতেম-আলির মনে_শান্তি_নেই_কেন⠀?

গ.. ⠀উদ্দীপকের_’মঞ্জুর সাহেবের’ সাথে “বহিপীর’ নাটকের হাতেম_আলী চরিত্রের বৈসাদৃশ্য’_তুলে-ধরো।

ঘ. মাতৃসুলভ সাহনুভূতি থাকলেও উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রী চরিত্রটি পুরোপুরি_“বহিপীর নাটকের⠀খোদেজা চরিত্র নয়- মন্তব্যটির⠀যথার্থতা বিচার করো।


 উত্তর:

ক. ১৭৯৩ সালে -সূর্যাস্ত_আইন প্রণীত হয়⠀।

খ. জমিদারি সূর্যাস্ত আইনে নিলামে উঠেছে বলে জমিদার হাতেম আলির মনে শান্তি নেই। হাতেম আলি জমিদার। খাজনা বাকি পড়ায় তার জমিদারি হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সূর্যাস্ত আইনে নির্দিষ্ট সময়ের আগে নিদিষ্ট পরিমাণ খাজনা না দিতে পারলে জমিদারি অন্যের কাছে হস্তান্তর করত উধর্বতন কর্তৃপক্ষ। হাতেম আলি সারা জীবন জমিদার ছিলেন। শেষ বয়সে এসে জমিদারি হারাতে হবে এটা তিনি মানতে পারেননি। আবার জমিদারি বাঁচাতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, তাও তিনি জোগাড় করতে পারছেন না। এসব কারণেই হাতেম আলির মনে শান্তি নেই।

গ.

“বহিপীর নাটকে হাতেম আলি একজন আদর্শ মানুষ। কারণ তিনি টাকার জন্য তাহেরাকে গীরের হাতে তুলে দিতে রাজি হননি- এই বিষয়টি উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বৈষয়িক সুবিধার জন্য মানুষ কখনো কখনো অন্যের অধিকারকে ক্ষুন্ন করে, যা অন্যায় ও অমানবিকতা। আর যাঁরা মানবতাবোধসম্পন্ন, তারা নিজের সুবিধার জন্য অন্যকে কষ্ট দেন না, বরং নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যের স্বাথকে রক্ষা করেন। উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেব একজন স্বার্থবাদী মানুষ। তাই টাকা বাঁচাতে সে তার বোনকে এক ব্যভসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করেন। মঞ্জুর সাহেবের বিপরীত চরিত্র হলো ‘বহিপীর, নাটকের হাতেম আলি। কারণ তিনি জমিদারি রক্ষা করার ক্ষেত্রে পীরের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার শর্তে বহিপীরের হাতে তাহেরাকে তুলে দিতে রাজি হননি। সুতরাং দেখা যায় যে, উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের সঙ্গে বহিপীর’ নাটকের হাতেম আলির চরিত্রের বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।

‘বহিপীর’ নাটকের খোদেজার মধ্যে মাতৃসুলভ আচরণ থাকলেও তা কুসংস্কারাচ্ছন্ন। কিন্তু উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রীর মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই। সে আদর্শ মায়ের পরিচয় দিয়েছে। ংস্কার মানুষের জন্য অভিশাপ। এতে বিশ্বাস করে মানুষ অনেক সত্যকে বাদ দিয়ে মিথ্যাকে গ্রহণ করে। ফলে অনেক ক্ষতি হয় এবং কখনো কখনো বিপদও হয়। আর যাদের চিন্তা ক্ষমতা আছে, বোধের স্ফুরণ আছে তারা কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না। উদ্দীপকে মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রীর চরিত্রে মাতৃসুলভ আচরণ প্রকাশ পেয়েছে। মাজেদাকে তার ভাই মঞ্জুর সাহেব বিয়ে দিতে চায় এক ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে। এতে জোর প্রতিবাদ করে তার স্ত্রী। সে বুঝতে পারে যে সতিনের সংসার কুরক্ষেত্র। মাজেদা সেখানে শান্তি পাবে না।

‘বহিপীর” নাপকে খোদেজা চরিত্রের মধ্যে মাতৃসুলভ আচরণ খুঁজে পাই। তাহেরা বিপদে পড়ায় খোদেজা তাহেরাকে বজরায় তুলে নেন। যত্র করেন, মাথার চুল আঁচড়ে দেন। মেয়ের মতো ব্যবহার করেন তাহেরার সঙ্গে। “বহিপীর নাটকের খোদেজা চরিত্রটি অত্যন্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন॥। কারণ তাহেরাকে তিনি মাতুত্নেহ দিয়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু যখন বুঝলেন যে, তাহেরা পীরের অবাধ্য স্ত্রী, তখনই তার মাতৃত্রেহ শ্লান হয়ে গেল। বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে কিশোরী তাহেরার দাম্পত্য জীবন কেমন বেমানান তুলে দিতে চান। এ অন্যায়কে হাশেম রোধ করতে গেলে খোদেজা পীরের অভিশাপের ভয় দেখান। পীরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমিদারি রক্ষা করতে চান। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : সুমির বাবা দিনমজুর। যৌতুকের টাকার অভাবে সুমির বাবা বৃদ্ধ মোড়লের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। সুমি রাজি না হয়ে বিয়ে দিতে চায়। তখন রাহুল প্রতিবাদ করে এ বিয়ে ঠেকায়। অবশেষে সে নিজেই বিনা যৌতুকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ক. নৌকার_সঙ্গে কিসের “ধাক্কা” লেগেছিল?

খ. এমন মেয়_ও কারও পেটে_জন্মায় জানতাম_না- এ কথাটি_বুঝিয়ে বলো।

গ। সাদৃশ্যপূর্ণ- তা তুলে ধরো।

ঘ. প্রতিবাদের_প্রতীক চরিত্র হিসেবে উদ্দীপকের ‘রাহুল’ও ‘বহিপীর, নাটকের হাশেম আলি অভিন্ন- মূল্যায়ন কর।

 

 উত্তর-

ক. নৌকার সঙ্গে বজরার ধাক্কা লেগেছিল।

খ. এমন মেয়েও কারও পেটে জন্মায় জানতাম না-কথাটি দ্বারা তাহেরার আচরণ লক্ষ করে তার মাকে নিন্দা করা হয়েছে। মানতে নারাজ। সে গীরের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। তার এই পালানোটা জমিদারগিন্নি খোদেজার কাছে খুব অন্যায় কাজ মনে হয়েছে। কারণ খোদেজা গীরভক্ত, পীরের স্ত্রী হওয়া তার কাছে বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। অথচ তাহেরা গীরের বউ হতে রাজি নয়। পালানোর কারণে তার প্রতি খারাপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে খোদেজার মনে। এজন্যই তিনি উক্তিটি করেছেন। সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই তাদের মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিয়ে মানুষের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ের ক্ষেত্রে তাই বর- কনের পছন্দের বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হয়। বয়সের ক্ষেত্রে অবশ্যই সামঞ্জস্য থাকতে হবে এবং বিয়ে কোনো দেনা-পাওনার শর্তে হতে পারবে না।

কারণ এসব সমস্যা থাকলে দাম্পত্য জীবন অনেক অসুখী হয়ে ওঠে। উদ্দীপকে দেখা যায় যে, সুমি দিনমজুর বাবার মেয়ে। যৌতুকের অভাবে তার বিয়ে জচ্ছে না। তাই তার বাবা বৃদ্ধ লোক মোড়লের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে এতে আপত্তি করে। তাতে কোনো ফল হয় না। শেষে সে পালানোর চেষ্টা করে। তখন তাকে গ্রামের মানুষ জোর করে বিয়ে দিতে চায়। বহিপীর, নাটবেও দেখা যায় যে, তাহেরা সৎমায়ের সংষারে থাকে। তার সৎমা এবং বাবা জোর করে তাকে বহিপীরের মঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়। এভাবে উদ্দীপকের সুমির সঙ্গে ‘বহিপীর নাটকের তাহেরার সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ.

প্রতিবাদের প্রতীক চরিত্র হিসেবে উদ্দীপকের রাতুল ও ‘“বহিপীর” নাটকের হাশেম আলি অভিন্ন- মন্তব্যটি যথার্থ। সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়া অনেক সাহসের ব্যাপার। কারণ যেখানে মিথ্যার খেলা চলে, সেখানে সত্য প্রতিষ্ঠা করা খুবই কষ্টকর। যারা মানবিক তারা কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। মিথ্যার বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ করায় তাদেরকে কখনো কখনো ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হয়। উদ্দীপকে দেখা যায় যে, রাহুল অত্যন্ত প্রতিবাদী চরিত্র। সুমিরা নি্নবিত্ত হওয়ার কারণে তার তাকে বিনা যৌতুকের জন্য একজন বৃদ্ধ লোক মোড়লের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়। সে এতে মোটেও রাজি নয়। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে রাহুল। অবশেষে সে নিজেই সুমিকে বিনা যৌতুকে বিয়ে করে। ‘বহিগীর নাটকের হাশেমও অনুরূপ। তাহেরা বহিগীরকে নিজের স্বামী হিসেবে মানতে নারাজ। বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে যাওয়ার চাইতে পানিতে ডুবে মরে যাওয়ার প্রতিবাদ করে। তবু পীর তাকে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা চালায়। এমতাবস্থায় জমিদারপুত্র হাশেম তাহেরাকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ আরও পেতে এখানে চাপুন

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button