FavoriteSpecial

অভাগীর স্বর্গ গল্পের সকল অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর ২০২১ নবম-দশম

অভাগীর সর্গ সৃজনশীল প্রশ্নও

 

প্রশ্ন 1)কাঙালীর অসহায়ত্বের কারণ কী?

উত্তর : কাঙালীর অসহায়ত্বের প্রধান কারণ পিতার সঙ্গে
সম্পর্কহীনতা, দারিদ্র্য এবং নিচু জাত বলে সামাজিক বৈষম্য ।
‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কাঙালী দুলে পরিবারের ছেলে। ছেলেবেলা
থেকেই সে বাবার আদর পায়নি। মাকে ছেড়ে তার বাবা আর
একটি বিয়ে করে অন্য গ্রামে সংসার পেতেছে। কাঙালীদের
সংসারে নিত্য অভাব। তার মা কোনাে রকমে সংসারে দুবেলা
খাদ্যের সংস্থান করে। সেই মায়ের অসুস্থতা ও মৃত্যু, সর্বোপরি
সামাজিক বৈষম্য কাঙালীর জীবনকে অনিশ্চয়তা ও অসহায়ত্বের
দিকে ঠেলে দিয়েছে।

প্রশ্ন 2) অধর রায় বারান্দায় গােবরজল দিতে বলেছেন কেন?

উত্তর : অধর রায় বারান্দায় গােবরজল ছড়িয়ে দিতে বলার কারণ
হলাে- নিচু জাতের সন্তান কাঙালী তার মায়ের মড়া ছুঁয়ে এসে অধর
রায়ের বারান্দায় দাড়িয়েছিল।
কাঙালী মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য মায়ের মৃত্যুর পর কাঠের
ব্যবস্থা করতে জমিদারের কাছারি বাড়ি যায়। কাছারি বাড়ির কর্তা
অধর রায় । কাঙালী তার কাছে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানাে।
বেলগাছটি কাটার অনুমতি চায় মাকে পােড়ানাের জন্য। এতে অধর
রায় বিরক্ত হয়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা কাঙালীকে নিচে নেমে দাঁড়াতে
বলে এবং জাত জিজ্ঞাসা করে। অধর রায় ওর দাঁড়ানাের জায়গাটাতে
গােবর জল ছড়িয়ে দিতে আদেশ দেন। মূলত কাঙালী নিচু জাতের
হওয়ায় এবং মড়া ছুঁয়ে আসায় অধর রায় এ কথা বলেছেন।

 

প্রশ্ন ৩)স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পরেও কেন অভাগী পুনরায় বিয়ে

উত্তর : স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পরও কাঙালীর মা দ্বিতীয় বিয়ে করেনি
একমাত্র সন্তান কাঙালীর জন্য ।
কাঙালীর বাবা ছেড়ে যাওয়ার পর অভাগীকে অনেকেই বিয়ে
করতে বলেছে। কিন্তু তাতে অভাগীর মন গলেনি, সে বিয়েতে
রাজি হয়নি। কারণ সে জানে কাঙালীর সে ছাড়া এ জগতে আর
কেউ নেই। তাই নিজের কথা ভেবে স্বার্থপরের মতাে সে বিয়ে।
করেনি, বাঙালীর জন্য কারও প্ররােচনায় সে কান দেয়নি।

প্রশ্ন ৪) অভাগী কেন শাশানের কাছে যেতে সাহস পেল না?

উত্তর : দুলে বংশের মেয়ে বলে অভাগী শাশানের কাছে যেতে
সাহস পেল না।
ঠাকুরদাস মুখােপাধ্যায়ের স্ত্রী মারা যাওয়ায় তাকে মহাসমাবেহে
শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সকারের জন্য। হিন্দু রীতিতে দলে
বংশ অনেক ছােট। বড় বংশেৱ মড়া পােড়ানোর সময় ছোট জাতের
কেউ শ্মশানে গেলে সেটা দৃষ্টিকটু হয়। অভাগী সবার পিছু পিছু
শানের কাছাকাছি গেলেও ভেতরে যাওয়ার সাহস পেল না।
কারণ সে দুলে অর্থাৎ নীচু বংশের মেয়ে ।

প্রশ্ন ৫) অভাগীর বাবা কেন মেয়ের নাম অভাগী রাখল?

উত্তর : অভাগীর যখন জন্ম হয়, তখনই তার মা মারা যায়। এ
কারণেই রাগ করে বাবা তার মেয়ের নাম রাখল অভাগী।
অভাগীর বাবার কাজ মাছ ধরা। দিন-রাত সে মাছ ধরে জীবিকা
নির্বাহ করে। যেদিন অভাগীর জন্ম হলাে— সেদিন আঁতুড়েই অভাগীর
মা মারা গেল। সদ্যোজাত শিশুর মা মারা যাওয়া দারুণ দুর্ভাগ্যের
নামান্তর। কারণ মাতৃস্নেহ ও মাতৃস্তন্য থেকে মে বঞ্জিত। তাছাড়া
অভাগীর বাবা জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ্য মাছ ধরার কাজে
সারাদিন বাইরে থাকে। ফলে অভাগীর কপালে পিতৃয়েহ ও বিশেষ
জুটবে না। এ কারণেই বাবা রাগ করে তার নাম রাখে অভাগী।

প্রশ্ন ৬) অভাগীর মায়ের কিসে মনে হচ্ছিল ঠাকুরদাস মুখুয্যের
স্ত্রী স্বর্গে যাচ্ছে?

উত্তর : কাঙালীর মা দেখল যে, ঠাকুরদাস মুখােপাধ্যায়ের স্ত্রীর
শলে যখন বহুকষ্ঠের হরিধ্বনির সঙ্গে পুত্রহস্তের আগুন লাভ করছে
তখন প্রশ্নোক্ত কথাটি সে মনে মনে বলেছিল ।
কাহালীর মায়ের মতে মৃত্যুর পর ছেলের হাতের আগুন অত্যন্ত পবিত্র ।।
যে মা তা পায় সে অত্যন্ত ভাগ্যবতী । কারণ ছেলের হাতে আগুন পেলে
সে স্বর্গে যায়। তাই যখন ঠাকুরদাস মুখােপাধ্যায়ের স্ত্রীর চিতায় তার
ছেলে আগুন দিচ্ছিল তখন কাঙালীর মায়ের অনুরূপ ভাবনাটি হয়েছিল।

প্রশ্ন ৭) রাখালের মা কাঙালীর মাকে সতী-লক্ষ্মী বলেছিল কেন?

উত্তর ; ছেড়ে যাওয়া স্বামীর প্রতি ভক্তি এবং সন্তানকে আগলে রাখার
দিক বিবেচনা করে রাখালের মা কাঙালীর মাকে সতী-লক্ষী বলেছিল।
কাঙালীর মা অভাগী পৃথিবীতে বড় অসহায়। মাতৃহারা অভাগীর বিয়ে
হয় রসিক দুলের সঙ্গে কিন্তু অভাগীর কপালে বেশিদিন সেই সুখ
সয়নি। রসিক দুলে আরেকটি বিয়ে করে অন্য গ্রামে চলে যায়। তখন
অনেকেই অভাগীকে বিয়ে করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল । কিন্তু অভাগী।
স্বামী এবং একমাত্র সন্তানের কথা ভেবে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেনি।
দুঃখ-দৈন্যে সে কাঙালীকে বুকে আগলে বড় করতে লাগল। এ
কারণেই রাখালের মা কাঙালীর মাকে সতী-লক্ষ্মী বলেছিল।


আরও দেখুনঃ

অভাগীর স্বর্ণ’ গল্পের অনুশীলনী সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২১

‘বহিপীর’ নাটকের সকল সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর & অনুশীলনী ২০২১

(২০২১) কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

 


 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button