FavoriteStudy

শুভা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২। অনুশীলনী নবম দশম

Table of Contents

বাংলা প্রথম পত্র

সুভা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১: দুই পুত্র সন্তানের পর কন্যাসন্তান পলাশ বাবুর পরিবারে আনন্দের বন্যা নিয়ে এল। নাম রাখা হলো “কল্যাণী”। সকলের চোখের মণি কল্যাণী বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পলাশ বাবু বুঝতে পারলেন, বয়সের তুলনায় কল্যাণীর মানসিক বিকাশ ঘটেনি। কিছু বললে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। কল্যাণীর বিয়ের কথাবার্তা চলছে। পলাশ বাবু কল্যাণীর সবই বরপক্ষকে খুলে ভললেন। সব শুনে বরের বাবা সুবোধ বাবু বললেন, “পলাশ বাবু কল্যাণীর মতো আমার ছেলেও তো হতে পারত, কাজেই কল্যাণীমাকে ঘরে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

ক. সুভার গ্রামের নাম কী?

খ. পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভার’- কথাটি দ্বারা লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যে কল্যাণী ও সুভার যে বিশেষ দিকটির সঙ্গতি দেখানো হয়েছে- তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. কল্যাণী ও সুভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন।”- বিশ্লেষণ কর।

আরো পড়ুনঃ- সুভা গল্পের জ্ঞানমূলক ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর (গুরুত্বপূর্ণ)

উত্তর

ক. সুভার গ্রামের নাম চন্তীপুর।

খ. “পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভার- কথাটির মধ্য দিয়ে লেখক বাকপ্রতিবন্ধী সুভার বিয়ের বয়স হওয়া সত্তেও বিয়ে দিতে না সুভা বণীকন্টের ছোট মেয়ে। সে কথা বলতে পারে না৷ বাণীকন্ঠ তার বড় দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ছোট মেয়ে সুভাকে বিয়ে দিতে পারেননি। তাই সুভার ভবিষ্যৎ নিয়ে বাণীকন্ঠ এবং তার স্ত্রী উভয়েই চিন্তিত। সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তাদের হৃদয়ে নীরব কষ্ট সৃষ্টি হয়। লেখক সেই কষ্টকেই বলেছেন- পিতা-মাতার নীরব হৃদয়ভার।

গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশের বক্তব্যে কল্যাণী ও সুভার শারীরিক প্রতিবন্ধকতার দিকটির সংগতি দেখানো হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেকে সমাজে অবহেলার শিকার হয়। এতে সমাজের মানুষ হীনম্মন্যতার পরিচয় দেয়। প্রতিবন্ধীদের সহানুভূতিশীল হলে তবেই তারা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং সমাজে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।

“সুভা” গল্পে সুভা কথা বলতে পারে না। আনন্দের বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এলেও কথা বলতে না পারার বিষয়টি কিছুটা সুভার কল্যাণীর জন্মও পরিবারে আনন্দ নিয়ে আসে। কিন্তু তার মানসিক প্রতিবন্ধকতার দিকটি সবাইকে চিন্তিত করে তোলে। তার মানসিক বিকাশ কিছুটা কম হয়েছে। “সুভা” গল্পের সুভাও বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তার পরিবারের সবার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে াড়িয়েছে। এভাবে উদ্দীপকের বক্তব্যে কল্যাণী ও সুভার প্রতিবন্ধকতার দিকটি সংগতিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ঘ. কল্যাণী ও সভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন- মন্তব্যটি যথার্থ। সম্মুখীন হয়। তারা আমাদের সমাজেরই অংশ, আমাদের মতোই মানুষ। তাই তাদের কল্যাণে এগিয়ে আসা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের সহানুভূতি পেলে তারা জীবনের পূর্ণতা লাভ করবে।উদ্ধীপকে কল্যাণীর মানসিক বিকাশ ঠিকমতো ঘটেনি। বিয়ের কথাবার্তায় তার বাবা পলাশ বাবু বরপক্ষের কাছে সে সব কথা খুলে বলেন। তারা সব শুনে উদারতার পরিচয় দেন।

বরের বাবা সুবোধ বাবু মহত্তের পরিচয় দিয়ে কল্যাণীকে ঘরে নিয়ে যেতে চান। অন্যদিকে “সুভা* গল্পের সুভা বাকপ্রতিবন্ধী। সে কথা বলতে পারে না। সবার কাছ থেকে সে অবহেলা পেলেও তার বাবার ভালোবাসা পেয়েছে। সুভার সাথে কেউ মেশে না বলে সে পোষা প্রাণীদের মাঝে নিজের একটি বিশাল জগৎ তৈরি করেছে। উদ্দীপকের কল্যাণী ও ‘সুভা” গল্পের সুভা একই পরিস্থিতির শিকার হলেও উভয়ের প্রেক্ষাপট ও পরিণতি ভিন্ন। কল্যাণী সুবোধ বাবুর উদারতায় পেয়েছে সুন্দর ভবিষ্যতের সন্ধান। অথচ “সুভা* গল্পের সুভার পরিণতি এতটা মানবিকতায় সিক্ত হয়নি। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

আরো পড়ুনঃ- সুভা গল্পের জ্ঞানমূলক ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর (গুরুত্বপূর্ণ) A Guide About Loan For Students in USA 2022

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button